মতবিনিময় সভায় শিল্প সচিব : লবণের ঘাটতি নেই ঈদে দাম বাড়বে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম বলেছেন, ২০২০ সালের জুনের মধ্যে সাভারে অবস্থিত চামড়া শিল্পনগরীর কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হবে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ মজুদ আছে, কোথাও লবণের ঘাটতি নেই। তাই আসন্ন ঈদুল আজহায় লবণের দাম বাড়বে না।

গতকাল সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত চামড়া শিল্পনগরীর প্রকল্প কার্যালয়ে চামড়া শিল্প নগরীর সর্বশেষ অবস্থা এবং দেশে লবণের মজুদ পরিস্থিতির বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন শিল্প সচিব।

আবদুল হালিম বলেন, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী এ বছর ১ লাখ ১৭ হাজার পশু কোরবানি হতে পারে। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, চামড়া সংরক্ষণের জন্য কোরবানির সময় তাত্ক্ষণিকভাবে ৮২ হাজার টন লবণ প্রয়োজন হবে এবং বছরের বাকি সময় মোট ১ লাখ টন লবণ প্রয়োজন হবে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২০১৮-১৯ লবণ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্থাৎ মোট ১৮ লাখ টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে উল্লেখ করে শিল্প সচিব বলেন, লবণের কোনো ঘাটতি হবে না।

আবদুল হালিম বলেন, ২০০ একর জায়গার ওপর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য সংশ্লিষ্ট লিঙ্কেজ ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের অধীনে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। শিল্প সচিব বলেন, লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের মানদণ্ডে ১৬০০টি প্যারামিটার রয়েছে। এর মধ্যে ১০০টি প্যারামিটার কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্লান্টসংক্রান্ত। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বাড়াতে অবশিষ্ট ১৫০০টি প্যারামিটার অনুযায়ী চামড়া শিল্পনগরীতে স্থাপিত ট্যানারিগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়ার মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্লান্টে ক্রোম সেপারেশন ও সেডিমেন্টেশনের মান ক্রমেই উন্নত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

চামড়া শিল্পনগরীর কঠিন বর্জ্য তিনটি স্থানে ডাম্পিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে শিল্প সচিব বলেন, চামড়া প্রক্রিয়াকরণের সময় উৎপাদিত সব বর্জ্যই ক্ষতিকর নয়। ক্রোমিয়াম ব্যবহারের আগ পর্যন্ত উৎপাদিত বর্জ্য নিরাপদ এবং এসব বর্জ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা যায়। এসব ব্যবহারযোগ্য ট্যানারি বর্জ্যকে কীভাবে উৎপাদনশীল খাতে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েটের বিআরটিসির টিম লিডার অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত উল্লাহ,

বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মো. দিলজাহান ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবু ইউসুফ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. সেলিম, চামড়া শিল্পনগরীর প্রকল্প পরিচালক জিতেন্দ্রনাথ পাল, বিসিকের পরিচালক (বিপণন ও নকশা) মো. মাহবুবুর রহমান, পরিচালক (অর্থ) স্বপন কুমার ঘোষ, পরিচালক (প্রকল্প) মোহাম্মদ আতাউর রহমান সিদ্দিকী ও বিসিকের সচিব মোস্তাক আহমেদ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন