টকিজ

অপু, সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী তিন চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী (১৯৫৫), অপরাজিত (১৯৫৬) আর অপুর সংসার (১৯৫৯) ছবির মূল চরিত্র এবং এ তিন সিনেমাকে একত্রে বলা হয় অপু ট্রিলজি।
খবর হলো অপু আবার পর্দায় ফিরে আসছে। অপু ফিরে আসবে অভিযাত্রিক নামে নতুন এক সিনেমায়, আর এ সিনেমা বলিউডে হাজির করবেন মাধুর বানদারকার, পরিচালনা করবেন শুভ্রজিৎ মিত্র। গত শুক্রবার নির্মাতার পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সত্যজিৎ অপু ট্রিলজি বানিয়েছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী ও অপরাজিত অবলম্বনে। আর অভিযাত্রিক ছবিটি নির্মিত হবে অপরাজিত উপন্যাসের শেষাংশ নিয়ে। ‘১৯৫৯ সালে সত্যজিতের অপু ট্রিলজি যেখানে শেষ হয়ে গেছে অপুর সংসারে, সেখান থেকেই এ নতুন ছবির কাহিনীর শুরু’— অভিযাত্রিক ছবির ঘোষণায় এ রকমই বলা হয়েছে। অভিযাত্রিক ছবির গল্প মূল চরিত্রের ভ্রমণক্ষুধা আর পিতাপুত্রের মধ্যকার সম্পর্ক। অপু আর তার ছয় বছরের ছেলে কাজলকে নিয়েই অভিযাত্রিকের কাহিনী। ৬০ বছর পর কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিতের অপু বড় পর্দায় ফিরছে। ছবিটির পুরো ধারণ কাজ হবে সাদাকালোয়, ১৯৪০ সালের ভারতকে শিল্পীতরূপে ফুটিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এ পরিকল্পনা। নির্মাতাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ছবিতে বেশ কিছু নতুন চরিত্র যোগ করা হবে, এর মধ্যে লীলা নামে একটি চরিত্রও যোগ হবে। ট্রিলজিতে চরিত্রটি নেই, কিন্তু বিভূতিভূষণের উপন্যাসে লীলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র। আরেকটি সংযোজন হলো অপুর এক অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় বন্ধু, তাকে হাজির করা হচ্ছে এ ছবিতে, চরিত্রটিও মূল বইয়ে আছে। অপু আর কাজলের জীবনের প্রায় অবিচ্ছেদ্য অংশ চরিত্রটি। ছবিটি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে চিত্রায়িত হবে।
ছবির সংগঠক বানদারকার এ রকম একটি উদ্যোগ নিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন পরিচালক ও চলচ্চিত্রামুদে হিসেবে বলব, আমি সত্যজিতের একজন বিশাল ভক্ত এবং অপুর ভ্রমণ আমাকে সবসময়ই আকৃষ্ট করেছে। তিনি আরো বলেন, ‘ছবির সহপ্রযোজক গৌরাং জালানকে আমি চিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, তাই আমার আশা এটা বিশ্বের সব চলচ্চিত্র দর্শক, সঙ্গে প্রবাসী বাঙালির কাছেও সমাদৃত হবে।’
সূত্র: স্ক্রল
পাঠকের মতামত