খবর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, ওই প্রতিবেদন আমরা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। পত্রপত্রিকায় এ ধরনের কোনও অনিয়মের তথ্য দেখা যায়নি।
আপনারা কেবল পত্রপত্রিকার ওপর নির্ভর করেছেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, এনকোয়ারি কমিটিসহ সবার কাছ থেকে তথ্য নিয়েছি। এ ধরনের অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি।
টিআইবি বলেছে– নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ছিল লজ্জাকর? এ প্রশ্নের উত্তরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অসৌজন্যমূলক মন্তব্য। এ ধরনের মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। তবে আমরা এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবো না।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, টিআইবির প্রতিবেদন বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে একটি প্রতিবেদন। টিআইবি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে আর বিএনপির বক্তব্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে টিআইবি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে মাত্র। অন্য কোনো কিছু নয়।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টিআইবিকে বলবো, গল্প খাওয়াচ্ছেন, অনেক অবিশ্বাস্য রূপকথার কাহিনী সাজাচ্ছেন যে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। স্বচ্ছ ব্যালট বক্স ব্যবহার করা হয়েছে। আপনাদের কোনও একজন প্রতিনিধি বা প্রতিপক্ষের এজেন্ট নির্বাচনি কেন্দ্রে কি এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছে? টিআইবি আসলে স্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কথা বলছে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। এতে দাবি করা হয়, ৩০০ আসনের মধ্যে ৫০টি আসন দৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্ধারণ করেছিল টিআইবি। এই ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৭ আসনেই কোনো না কোনো নির্বাচনী অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তারা।
পাঠকের মতামত