খেলা

রান উৎসবে শেষ হয়েছে বিসিবি একাদশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচটি। গতকাল বিকেএসপিতে ব্যাটসম্যান রাজত্বের ম্যাচে ডি/এল মেথডে ৫১ রানে জিতেছে বিসিবি একাদশ। স্বাগতিকদের প্রাপ্ত দুটি সেঞ্চুরি। ১০৭ রান করেন তামিম ইকবাল। সৌম্য সরকার অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে।
ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৪১ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৪ রান সংগ্রহ করে বিসিবি একাদশ। এরপর আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ডি/এল (ডাকওয়ার্থ-লুইস) মেথডে ৫১ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা
৩৩২ রানের টার্গেটকে অনেকটাই সহজ করে দেন আড়াই মাস পর মাঠে ফেরা তামিম। তাকে সুযোগ্য সঙ্গ দেন তিন নম্বরে নামা সৌম্য। তবে এ ম্যাচে হার-জিতের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল চোট থেকে ফেরা তামিমের ব্যাটিং। অনেক দিন পর বল হাতে নেয়া মাশরাফি মর্তুজা কেমন করেন, তা নিয়েও আগ্রহ ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। তামিম ও মাশরাফি দুজনই সুবিচার করেছেন নামের প্রতি। মাত্র ৭৩ বলের ইনিংসে ১০৭ রান করেন তামিম। বল হাতে খুব খারাপ করেননি মাশরাফি। বড় রানের জন্য বিখ্যাত বিকেএসপির মাঠে ৮ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে মাশরাফি নিয়েছেন মারলন স্যামুয়েলসের উইকেট।
ইমরুল কায়েসকে নিয়ে শুরুটা করেন তামিম। তিনি যে আড়াই মাস পর মাঠে নেমেছেন, এটা তার ব্যাটিং দেখে বোঝার উপায় ছিল না। উইকেটে গিয়েই খেলেছেন স্বভাবসুলভ দর্শনীয় সব শট। উদ্বোধনী জুটিতে ৯ ওভারেই যোগ হয় ৮১ রান। ২৫ বলে ২৭ করে রোস্টন চেজের বলে ফেরেন ইমরুল। উইকেটে আসেন সৌম্য। রান তোলার গতি বেড়ে যায় আরো। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন আরো ১১৪ রান। ৭০ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো তামিম ফেরেন ৭৩ বলে ১০৭ রান করে। তার ইনিংসে ১৩ চারের সঙ্গে ছিল চারটি বিশাল ছক্কা। তবে তামিম ফেরার পরই পথ হারানোর জোগাড় হয় স্বাগতিকদের। দ্রুতই সাজঘরমুখো হন মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক, তৌহিদ হূদয় আর শামিম পাটোয়ারী। ২ উইকেটে ২০০ থেকে ২৬৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ। পরে মাশরাফিকে নিয়ে বাকি পথ নির্বিঘ্নে পার করেন দেন সৌম্য। ৭৫ বলে সেঞ্চুরি করা সৌম্যের ইনিংসে ৭ চার আর ৬টি ছক্কা। ২২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মাশরাফি।
পাঠকের মতামত