আন্তর্জাতিক ব্যবসা

লন্ডনে তালিকাভুক্ত ওষুধ কোম্পানি শায়ার ৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন তাকেদার শেয়ারহোল্ডাররা। বুধবার জাপানের ওসাকায় আয়োজিত শেয়ারহোল্ডারদের বিশেষ সাধারণ সভায় শায়ার অধিগ্রহণের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাকেদার প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।
শায়ার অধিগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ওষুধ কোম্পানির তালিকায় জায়গা পেল তাকেদা। শায়ার অধিগ্রহণে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবের পর দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা সফল হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের শীর্ষ ঋণগ্রস্ত কোম্পানির তালিকায়ও স্থান পাবে জাপানি এ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি। অধিগ্রহণ সম্পন্নের একদিন আগে তাকেদার প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের এক সদস্য কাজুহিসা তাকেদা শায়ার অধিগ্রহণের বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাকেদা আরো ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কায় তিনি এ মত দিয়েছিলেন। দেখা গেছে, বুধবার যখন শেয়ারহোল্ডারদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়, মাত্র অল্পসংখ্যক শেয়ারহোল্ডারই অধিগ্রহণের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
গত মার্চে শায়ার অধিগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করার পর থেকে তাকেদার শেয়ারদর পতন হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। উচ্চ অধিগ্রহণ ব্যয় ও অন্তর্ভুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কোম্পানিটি পেরে উঠবে কিনা, এ আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন ছিলেন।
বৈশ্বিক ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি হিসেবে জায়গা করে নেয়া এবং ক্যান্সার, পাকস্থলী ও মস্তিষ্কের ওষুধের পোর্টফলিও সমৃদ্ধ করার
লক্ষ্যে এ অধিগ্রহণ সম্পন্ন করেছে তাকেদা। বাজারে নতুন শেয়ার ছাড়ার পাশাপাশি ৩ হাজার ৯০ কোটি ডলার ব্যাংকঋণ সংগ্রহ করতে পেরেছে কোম্পানিটি।
ব্যয়সংকোচনের মাধ্যমে চুক্তিটিকে লাভজনক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাকেদার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টোফ বেবার। এছাড়া ঋণ শোধের লক্ষ্যে ১ হাজার কোটি ডলারের নন-কোর সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে তাকেদা।
এদিকে তাকেদার সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাতে বৈঠকে বসার কথা ছিল শায়ারের শেয়ারহোল্ডারদের।
হ্যাম্পশায়ার কাউন্টির ব্যাসিংস্টোকে এখনো একটি বড় কারখানা রয়েছে শায়ারের। যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত এ কোম্পানিটি এক দশক আগে ডাবলিনে প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর করেছিল। ৬৫টি দেশে ২৪ হাজার কর্মী রয়েছে শায়ারের।
পাঠকের মতামত