খবর
আগামী সংসদ নির্বাচনে পরিপূর্ণভাবে ইভিএম ব্যবহার হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ এখতিয়ার ইসির বলেও জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে একথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত, বিশ্বাসযোগ্য ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর করতে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইভিএম ক্রয়, সংরক্ষণ ও ব্যবহার-সংক্রান্ত প্রকল্পটি ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। তবে প্রকল্পটি অনুমোদনের পর ইভিএম আমদানি, স্থাপন, ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সময় লাগতে পারে।
জাতীয় নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করা হতে পারে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সে লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পটি একনেক সভায় তোলা হবে অনুমোদনের জন্য। তবে আমাদের একদিন না একদিন ইভিএমে যেতে হবে। এটা কারিগরি বিষয়, তাই সবার প্রশিক্ষণ দরকার। বিশেষ করে ব্যবহারকারী, সুবিধাভোগী, ব্যবস্থাপনায় যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়া এটি ব্যবহার যথার্থ হবে না।
জানা গেছে, নির্বাচন ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনতে ইভিএম ক্রয়-সংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২৩ জুনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করবে ইসি। তবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের যে সময় আছে, এতে ইভিএম কিনে জাতীয় নির্বাচনে পুরোপুরি ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া একবারে পুরো বরাদ্দের টাকা দেয়াও সম্ভব হবে না।
পাঠকের মতামত