টকিজ

নন্দিতা দাসের ‘মান্টো’ ছবিটি সিনেমা ও সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল আগ্রহ জাগিয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বরে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। উর্দু গল্পকার সাদাত হাসান মান্টো এ উপমহাদেশের একজন বিশিষ্ট লেখক। তার সাহস ও প্রগতিশীল চিন্তা আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক হিসেবে বিবেচিত। মান্টোর জীবনী নিয়ে সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা বেশ কয়েক বছর আগে থেকে নন্দিতা দাস করছিলেন। মান্টোর ভক্ত এবং সিনেমাপ্রেমীদের অনেকেই লেখক মান্টোকে বড় পর্দায় দেখার দিন গুনছেন। পরিচালক নন্দিতা দাস এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন মান্টো নির্মাণের গল্প—
আজকের দিনে সাদাত হাসান মান্টোর জীবনী নিয়ে সিনেমার গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা কী?
আমার উত্তর হবে, মান্টো নয় কেন? আমি সিনেমায় দেখিয়েছি ১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সময়কালকে, এটা শুধু মান্টো নয়, বরং তিনি যে দুই দেশে বাস করেছেন ভারত ও পাকিস্তানের জীবনেরও সবচেয়ে আলোড়নের সময় তখন। মান্টোর লেখা খুব শক্তিশালী এবং আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক। এতটাই প্রাসঙ্গিক যে আমার মনে হয় আজকের দুনিয়ায় যা কিছু ঘটছে, সবকিছুকেই তার লেখা দিয়ে জবাব দেয়া যায়।
২০১২ সালে যখন আমি তার প্রবন্ধগুলো পড়ি, তখন মনে হয় গল্প বাদেও তার চিন্তার অনেক বিস্তৃতি আছে। মান্টোর গল্প বলার জন্য আমার প্রস্তুত হতে পাঁচ বছর সময় লেগেছে। এ প্রস্তুতিতে ছিল আবেগ, ছিল সৃষ্টিশীল চিন্তাও।
মান্টোর নির্ভীকতা এবং মানুষের অবস্থা নিয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে।
পাঠকের মতামত