শেষ পাতা, আন্তর্জাতিক খবর

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। দেশটিতে সদ্য অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। জাতীয় পরিষদের ১৭৬ জন সদস্যের ভোট পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মুসলিম লিগ— নওয়াজের প্রতিনিধি শাহবাজ শরিফ পেয়েছেন ৯৬ জন সদস্যের সমর্থন। সংসদ সদস্যদের অনুমোদনসাপেক্ষে পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজই শপথ নিতে যাচ্ছেন ইমরান খান। খবর বিবিসি।
রাজনীতিতে নাম লেখানোর দুই দশকের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান। পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে মুসলিম লিগ ও পিপিপির মতো বড় দুটি দলের দীর্ঘদিনের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে এ পদে বসতে যাচ্ছেন তিনি।
অত্যন্ত সংকটময় এক মুহূর্তে পাকিস্তানের হাল ধরতে যাচ্ছেন দেশটির বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ইমরান খান। বর্তমানে মারাত্মক এক অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত অবস্থায় রয়েছে দেশটি। এর মধ্যেই নতুন এক পাকিস্তান গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রাজনীতিতে টিকে থাকতে গিয়ে ব্যাপক এক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ইমরান খানকে। মুছে ফেলেছেন নিজের দীর্ঘদিনের সেলিব্রিটি প্লেবয় ইমেজটিকে। সে জায়গায় নিজেকে অত্যন্ত ধার্মিক, জনপ্রিয় ও দারিদ্র্যমোচনকারী এক সংস্কারক হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। শক্ত অবস্থান নিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দরিদ্রের ভাগ্যোন্নয়নের।
নির্বাচনের আগে এক সাক্ষাত্কারে ইমরান খান বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর তার মনোযোগের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু থাকবে পাকিস্তানের অর্থনীতি। বর্তমানে অত্যন্ত সংকটময় এক মুহূর্ত পার করছে দেশটির অর্থনীতি। উল্লেখযোগ্য হারে অবমূল্যায়ন ঘটেছে দেশটির মুদ্রা রুপির। এছাড়া দেশটিতে মূল্যস্ফীতিও এখন চরমে। এর পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে দ্বিতীয়বারের মতো বেইলআউট চাইতে পারে পাকিস্তান। ২০১৩ সালের পর এটি হবে দেশটির দ্বিতীয় বেইলআউট।
নির্বাচনে জয়লাভের পর ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ নেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন ইমরান খান। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, যা দুই দেশের জন্যই লাভজনক বলে মনে করছেন তিনি।
পাঠকের মতামত