স্বাস্থ্য যত্ন
13 Shares

সন্তান জন্মদানের পর মায়েরা নানা রকম আবেগীয় অনুভূতির মধ্য দিয়ে যান। তা গড়াতে পারে আনন্দ থেকে ভয়ে, ভয় থেকে দুঃখবোধে। আর যখন এ ব্যথিত বা দুঃখবোধ মাত্রা ছাড়ায় এবং তা নতুন মায়েদের প্রতিদিনের নির্বিঘ্ন জীবনযাপনে বাধা দেয়, তখন তাকে বলা হয় পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসবোত্তর বিষণ্নতা। যুক্তরাষ্ট্রে সাতজনের মধ্যে একজন নারী এ সমস্যায় ভোগেন।
প্রসবোত্তর বিষণ্নতার লক্ষণগুলো সন্তান জন্মদানের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দেয় ও রেশ টেনে যেতে পারে ছয় মাস অব্দি। লক্ষণগুলো হচ্ছে, মনমেজাজ ঠিক না থাকা, সন্তানের সঙ্গে সখ্য তৈরি না হওয়া ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধাসহ অন্যান্য সমস্যা। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি বিষণ্নতা মোকাবেলায় নিজেকেও হতে হবে সচেষ্ট।
প্রসবের পর সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো, নিজের শারীরিক ধকল, নতুন কাজ অর্থাৎ সন্তান পরিচর্যার কাজে অভ্যস্ততা ইত্যাদি স্ট্রেস হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে মা হওয়ার অভিজ্ঞতা যদি প্রথম হয়, তাহলে এসব সমস্যা দেখা দেয়া খুবই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে স্ট্রেস মোকাবেলায় পরিবারের অন্যদের সাহায্য নিন। সন্তানকে রাখার জন্য বোন, মা বা শাশুড়িকে নিজের কাছে এনে রাখুন। এতে করে তাদের সাহচর্যে আপনি মানসিকভাবে হাসিখুশি থাকবেন, কেটে যাবে একাকিত্ব। পাশাপাশি নিজের অন্য কাজগুলোও গুছিয়ে নিতে পারবেন।
সন্তান নবজাতক থাকা অবস্থায় মায়েদের ঘুম ভাঙে খুব সকালেই। এরপর একটু ঘুমিয়ে নিলেও তা পরিপূর্ণ হয় না। সেজন্য সকালের নাশতা করে সম্ভব হলে একটু গড়িয়ে নিন। তাছাড়া আহার সেরে দুুপুরের পরের সময়টায় অল্প সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নেয়া যেতে পারে, সন্ধ্যাটা কাটান সিনেমা দেখে বা শরীরের জন্য উপযুক্ত যোগব্যায়াম করে। তবে প্রসবের পর শরীর ব্যায়ামের জন্য পুরোপুরি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত দিনে ১০ মিনিট ব্যায়াম করাই যথেষ্ট। আর কতটুকু সময় ব্যায়াম করবেন এবং কী ধরনের ব্যায়াম করবেন, তা অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে শুনে নিতে হবে।
সন্তান জন্মানোর প্রথম ছয় মাস শিশুর ঘুমের সময় অনুযায়ী মা তার ঘুমানোর সময় ঠিক করে নেন। হয়তো শিশু যখন ঘুমাচ্ছে, সে সময়টাতেই মা ঘুমিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু ফাঁকে ফাঁকে দুধ খাওয়ানো ও ডায়াপার পাল্টে দেয়ার জন্য তাকে জাগতে হয়। ফলে অনেক সময় ঘাটতি থেকে যায় বিশ্রামের। মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে। তাই এ সময় দিনের বেলায় অন্তত ১ ঘণ্টার জন্য হলেও নির্বিঘ্নে ঘুমানো খুবই জরুরি। একই সঙ্গে রাতেও বিছানায় যেতে হবে দ্রুত।
সূত্র: হেলথ লাইন
পাঠকের মতামত