প্রথম পাতা

স্বাস্থ্যগত নানা উপকারিতার জন্য মাছের তেলের বেশ কদর রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দীর্ঘমেয়াদে মাছ বা সূর্যমুখীর তেল গ্রহণের কারণে পরবর্তীতে লিভারের স্থূলতাজনিত ব্যাধি দেখা দিতে পারে। খবর মেডিকেল নিউজ টুডে।
ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে বিশেষজ্ঞরা দেখতে পান, জীবনভর মাছ অথবা সূর্যমুখী তেল গ্রহণের ফলে লিভারের আকৃতিজনিত এমন এক পরিবর্তন আসে, যা প্রত্যঙ্গটির নন-অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিসে (এনএএসএইচ) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এনএএসএইচ হলো অ্যালকোহলের প্রভাব ছাড়াই সংঘটিত লিভারের স্থূলতার সবচেয়ে মারাত্মক রূপ (এনএএফএলডি)।
গবেষণাটিতে উঠে আসা ফলাফল সম্প্রতি নিবন্ধ আকারে ‘দ্য জার্নাল অব নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট্রিতে’ প্রকাশিত হয়েছে।
লিভারের এক মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে এনএএসএইচকে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ রোগে আক্রান্তদের লিভারে চর্বি জমে যায় এবং এ চর্বি জমার জন্য অ্যালকোহল গ্রহণকে মোটেও দায়ী করা চলে না। এর ফলে লিভারের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক প্রদাহে ভুগতে হয়। রোগটিতে আক্রান্ত হলে লিভার সিরোসিস অথবা লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়।
এনএএসএইচের ঝুঁকি তৈরির পেছনে চিহ্নিত হওয়া অন্য কারণগুলো হলো— স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের বিপজ্জনক মাত্রা ও টাইপ টু ডায়াবেটিস। এসব রোগের ওপরেও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব অনেক বেশি।
উল্লিখিত গবেষণাটির জন্য গবেষণাগারে ইঁদুরের লিভারে সূর্যমুখী তেল, মাছের তেল ও অলিভ অয়েলের প্রভাব নিরূপণ করা হয়। দীর্ঘমেয়াদে তেলগুলো গ্রহণের ফলে লিভারের কাঠামোয় পরিবর্তনসহ বিভিন্ন প্রভাব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
গবেষণায় তারা দেখতে পান, লিভারে চর্বির পরিমাণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এবং এ চর্বির ধরনের ওপর খাদ্যের সঙ্গে গৃহীত তেলের প্রভাব থাকে। এর মধ্যে ইঁদুরের লিভারে সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে সূর্যমুখী ও মাছের তেল। অন্যদিকে পরীক্ষায় ব্যবহূত তেলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে অলিভ অয়েল।
পাঠকের মতামত