খেলা
0 Shares

হায়দরাবাদের ঐতিহাসিক টেস্টের পর বাংলাদেশের সামনে আরেকটি নতুন মাইলফলকের হাতছানি। আগামী ১৫ মার্চ কলম্বোর পি সারা ওভালে শততম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। গতকাল শ্রীলংকা সফরের আনুষ্ঠানিক সফরসূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিশ্চিত হয়ে গেল।
পূর্ণাঙ্গ এ সিরিজ খেলতে ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশ ছাড়ছে মুশফিকুর রহিমরা। সফরে লংকানদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি২০ ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। কয়েক দিন ধরেই শ্রীলংকা সিরিজ ঘিরে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। সফরের সময় ঘনিয়ে আসার পরও চূড়ান্ত হচ্ছিল না সফরসূচি। তার ওপর সিরিজের শুরু টেস্ট দিয়ে হবে নাকি ওয়ানডে দিয়ে— এ নিয়ে সংশয় তো ছিলই। সব শঙ্কা দূর হলো।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুরোধে টেস্ট দিয়ে সিরিজ শুরু করতে সম্মত
হয়েছে শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড। আগামী ৭ মার্চ গল স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের প্রথম
টেস্ট। এর পর ১৫ মার্চ কলম্বোর পি সারা ওভালে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। ইতিহাসের
অংশ হয়ে থাকা এ মাঠেই শততম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। উপমহাদেশের কেবল এ মাঠেই পা পড়েছিল সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান স্যার
ডন ব্র্যাডম্যানের।
শুধু শততম টেস্ট নয়, এর আগেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক ইতিহাস ও গৌরবের সঙ্গী শ্রীলংকা। ২০০১ সালে কলম্বোয় লংকানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি গড়ে সবকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান বনে যান মোহাম্মদ আশরাফুল। ১৯৮৬ সালে মোরাতুয়া স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। এবারের সফরে এ মাঠে টাইগাররা খেলবে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। তাছাড়া ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো সেখানে টেস্ট খেলেছিল টাইগাররা। এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সেবার সফরকারীরা হেরেছিল এক ইনিংস ও ১৩৭ রানে।
টেস্টের পর তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। তার আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে টাইগাররা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২২ মার্চ কলম্বোয়। সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে হবে ডাম্বুলায়। এর পর ১ এপ্রিল সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। মূলত টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রসিদ্ধ সিংহলিজ স্টেডিয়ামে প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে। এরপর ৪ ও ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচ টি২০ সিরিজ। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
লংকানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সটা মোটেও সুখকর নয়। এখন পর্যন্ত ১৬ টেস্টে টাইগাররা হেরেছে ১৪টিতে, ড্র করেছে ২টি। টেস্টের মতো সীমিত ওভার ক্রিকেটের দৃশ্যটাও একই রকম। ৩৮ ওয়ানডের মধ্যে ৩৩টিতে হার এবং ৪টিতে জয়। অন্যদিকে ৫ টি২০ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের জয় কেবল ১টিতে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে শ্রীলংকার মাটিতে টেস্ট ড্র করেছিল টাইগাররা। গলের সেই টেস্টে মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৯০ রানের পাশাপাশি ডাবল সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট অঙ্গনে ১৬ বছর কাটিয়ে দেয়ার পর চলতি মাসে ভারত সফর করে দেশে ফিরেছে মুশফিকুর রহিমরা। এবার তাদের সামনে অপেক্ষা করছে দেশের হয়ে শততম টেস্ট খেলার গৌরব।
পাঠকের মতামত